কোটা বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র সমাজ বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই, বাংলাদেশের প্রতিটা শহরেই পুলিশ শূন্য থাকার কারণে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শুধু ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বই নয় সাধারণ ছাত্র ছাত্রী এবং তাদের সাথে সাধারণ মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
৫ আগস্ট যেদিন শেখ হাসিনা সরকার পতন হয় ঐদিন পুলিশ বাহিনির থানা সহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করা হয়। ৬ আগস্ট থেকেই কোটা বিরোধী আন্দোলনে যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছেন তারাই দেশের যে সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর অগ্নি সংযোগ করেছে তারা নিজ হাতে সেগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছে এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করছেন।
দেখা গেছে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন শহরে ছাত্র ছাত্রী এবং তাদের সাথে যুক্ত হয়ে সাধারণ মানুষ দেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। শহরের রাস্তাঘাট বিভিন্ন দেওয়াল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার পরে ওই দেয়াল এবং রাস্তাঘাটে ইতিহাস তুলে ধরছে পেইন্টিং এর মাধ্যমে। ৫ আগস্ট যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য এবং বাংলাদেশের রাস্তাঘাটে কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় যেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা গুলো শিক্ষার্থীদের সাথে ঘটে গিয়েছে তারই প্রতিবাদ স্বরূপ পেইন্টিং করছেন শিক্ষার্থীরা।
কষ্টিয়া শহরের লাহিনী বটতলায় শিক্ষার্থী প্লাবন, তুষার,পারভেজ,লিফাত,শৌরভ,প্রপাত,প্রান্তো, শুভ,শাকিল,মুস্তাক,ইমন,নাহিদ,জিবন,মাহিন,সুলতান এবং আরো অনেকের উদ্যোগে রাস্তাঘাট,স্কুলের প্রাঙ্গণ ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও পেন্টিং করা হয়। এই শিক্ষার্থীরা বলেছেন দেশকে রক্ষা করতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এর সাথে আমরা আমাদের নিজ শহর রক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকতে চাই।