বিয়ের কনের বয়স ১৪ বরের ১৯ জাতীয় পরিচয়পত্র-জন্ম নিবন্ধন কিছুই নেই বিয়ে পড়ানো নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন, কোন সমস্যা নাই। সব সমস্যার সমাধান আছে কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্ট্রার তৌহিদুল ইসলাম ওরফে কাজী তুহিন, উজানগ্রাম ইউনিয়নের কাজী আবু সালেহ বাচ্চু ও চাদপুর ইউনিয়নের কাজী নেছার উদ্দিনের কাছে। ঐ ৩ ইউনিয়নসহ কুমারখালী উপজেলা জুড়ে যে সকল বাল্য বিয়ে ও অস্বাভাবিক বিয়ে পড়ানো হয়, সব কাজের কাজী এই ৩ নিকাহ রেজিষ্ট্রার।
অনুসন্ধানে জানা যায় সম্প্রতি কুমারখালি উপজেলা জুড়ে বাল্য বিয়ে, অস্বাভাবিক বিয়ে, বউ বাচ্চা থাকতে অবিবাহিত লিখে আবার বিয়ে তালাক প্রদান নিয়ে ঘটছে তুঘলকি কান্ড। খোজ নিয়ে জানাযায় গত ১৭/৫/২৪ শুক্রবার ১ম বউ ১০ মাসের ছেলে বাচ্চা থাকার পরেও তুহিন কাজী ও বাচচু কাজী মিলে ছেলে অবিবাহিত লিখে , তালাক হয়েছে কি না খোজ না নিয়ে বিয়ে পড়িয়েছে।
এই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বহু বিবাহের নায়ক, সাওতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক সামছুদ্দিন আহম্মেদ, কুমারখালী উপজেলার সদ্য পরাজিত ভাইস চেয়ারম্যান জামাত নেতা আবজাল হোসেন, চাপড়া ইউনিয়নের কাজি তুহিন ও উজানগ্রাম ইউনিয়নের কাজি বাচ্চু।
এ বিষয়ে কাজী তুহিন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আইনতো অনেকই আছে মানে কয়জন, একজন কাজীর কাছে ৪-৫ টি নিকাহ রেজিষ্ট্রা/ বই থাকে আমি কি করেছি আপনি ধরতেও পারবেন না। আমি ওমুকের লোক নিউজ করেন না পরে এক সময় দেখা করবো, নিউজ করলে আমার কিছুই হবে না।
এ বিষয়ে বাচ্চু কাজী বলেন, আমি ঐ বিবাহের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলাম আমার নিকাহর রেজিষ্ট্রির বইতে বিয়ের বর কনের নাম ঠিকানা লেখাপর তুহিন কাজী এসে ঝামেলা সৃষ্টি করায় আর বিয়ে পড়াতে পারিনি। অনেক টাকার বিনিময়ে জামাত নেতা ও ছেলের দুলাভাই রাসেল এর চাপে বিবাহিত ও এক বাচ্চার বাবা আল মামুনকে অবিবাহিত দেখিয়ে বিয়ে পড়িয়েছে। ১ম বউ এর অনুমতি বা তালাক নামা দেখার প্রয়োজন মনে করিনি।
এ বিয়ে প্রসঙ্গে কথা হয় চাদপুর ইউনিয়নের কাজি নেছার উদ্দিন বলেন আল মামুনের ১ম বউকে ২৬/২/২৪ তারিখে আমার কাছ থেকে তালাক দিয়েছে, আমার কাজ এখন আমার ছেলে করে। তালাক দেওয়ার পর সামছুদ্দিন চেয়ারম্যান সহ ছেলে পক্ষ আমাকে চাপ প্রয়োগ করে আমি তালাক পেপার মেয়েকে না পাঠিয়ে গোপন রাখি এটা করা আমার ঠিক হয়নি আমাকে মাফ করে দেন।
এ প্রসঙ্গে কুষ্টিয়া জেলা নিকাহ রেজিষ্ট্রার সমিতির সভাপতি দিলু কাজী বলেন তালাক প্রদানের কয়েকদিনের মধ্যে মেয়ে ও ইউনিয়ন বা পৌরসভার চেয়ারম্যান এর কাছে নোটিশ পাঠাতে হয় নোটিশ প্রাপ্তির ১মাসের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টার করা হয় না হলে ৩ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর তালাক কার্যকর হয় বা তালাক রেজিষ্ট্রি করা হয় তবে নিয়ম অনুযায়ী এই ৩ মাসের মধ্যে কোন পক্ষ অন্য কোথাও বিয়ে করলে সেটা আইনসিদ্ধ হয় না।
এ প্রসঙ্গে বাগুলাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জামাত নেতা ছামসুদ্দিন বলেন আমি বিয়েতে উপস্থিত ছিলাম আমাকে জানানো হয়েছিল ছেলে অবিবাহিত।
এ প্রসঙ্গে কুমারখালি উপজেলা সদ্য পরাজিত ভাইস চেয়ারম্যান আবজাল হোসেন বলেন আমি বিয়ের দাওয়াত পেয়ে যায় তুহিন কাজি ও বাচ্চু কাজি সেখানে উপস্থিত ছিলেন ছেলে অবিবাহিত এটাই নিকাহ রেজিষ্ট্রারে লেখা হয়েছে। আপনার কাছেই জানলাম ছেলে আল মামুনের পূর্বে বই বাচ্চা আছে। আমি তাদের সাথে কথা বলবো।