কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় হওয়া মামলায় আদলতে মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার অভিযোগে দৌলতপুর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও ঝাড়– মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। বুধবার (০৬ মার্চ) সকালে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ভূরকা হাটখোলাপাড়া এলাকায় মানববন্ধন ও ঝাড়– মিছিল করেন এলাকাবাসী। এসময় ওই এলাকার ৫ শতাধিক নারী পুরুষ এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
২০২৩ সালের ১৪ জুন বিকেলে গরুতে পাটক্ষেত খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ভুরকা হাটখোলাপাড়া গ্রামের রহমত মালিথার ছেলে শরিফুল মালিথা ওরফে ভেলশ মালিথা (৪৩) ও ঘেতু মালিথার ছেলে বজলু মালিথা (৪২) নামের দুই কৃষকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে চরাঞ্চলের এক সময়ের ত্রাশ লালচাঁদ বাহিনীর সেকেন্ডইন কমান্ড উজ্জল সর্দারসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এঘটনায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় একটি মামলা করেন নিহত বজলু মালিথার ছেলে নাহিদ হাসান।
পরে এঘটনার সাথে জড়িত ৫ জন এজাহার নামীও আসামীসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। এদিকে চলতি বছরের ফেব্রæয়ারি মাসের ১৫ তারিখে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দৌলতপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক রাকিবুল হাসান আদালত তদন্ত প্রতিবেদন জমাদেন। এতে মামলার বাদিপক্ষ না রাজি জানিয়ে মামলাটি নতুন করে তদন্তের জন্য গত মঙ্গলবার (৫ মার্চ) আদালতে আবেদন করেন।
পরে বুধবার সকালে মানববন্ধনে দেওয়া বক্তব্যে তারা জানান, বজলু মালিথা ও শরিফুল মালিথাকে প্রকাশ্য দিবালকে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এঘটনায় আমরা ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা করেছিলাম। কিন্তুু মামলাটি সুষ্ঠ তদন্ত না করে আসামী পক্ষের থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক রাকিবুল হাসান মামলার এজাহার থেকে হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া ৮ জনের নাম বাদ দিয়ে আদালতে মামলাটির প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। একারনে মামলাটিতে ন্যায় থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেন বক্তারা।
এসময় মানববন্ধন থেকে বক্তারা দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক রাকিবুল হাসানকে প্রত্যাহারের দাবী জানান। সেই সাথে মামলাটি পুনরায় তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবী জানান মানববন্ধনে উপস্থিত এলাকাবাসি।