বাংলাদেশে জুয়া খেলা নিষিদ্ধ হলেও ব্যক্তিগতভাবে দুজন বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে ফুটবল বা ক্রিকেট খেলার ফলাফল নিয়ে, বা অন্য কিছু নিয়ে ‘বাজি’ ধরে বিজয়ীকে অর্থ বা মূল্যবান বস্তু দেয়ার চল রয়েছে।
আবার অনেক ক্লাব, অভিজাত এলাকা এমনকি ঘরের ভেতরে জুয়ার আসর বসার ঘটনাও নতুন নয়।
তবে এই জুয়া সাম্প্রতিক সময়ে ডিজিটাল মাধ্যমে নতুন রূপ পেয়েছে। এ কারণে ঘরে বসেই মানুষ অনলাইনে বিভিন্ন জুয়ার অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারছেন।
এতে অনেক সময় তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানার সুযোগ থাকছে না।
সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কুষ্টিয়ার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের কাবিল পাড়ার মোকছেদের পুত্র জিল্লুর গড়ে তুলেছে অনলাইন জুয়ার সাম্রাজ্য।
অনলাইন জুয়ার ডিলার জিল্লুর বাংলাদেশ রেলওয়ে কুষ্টিয়ার ঊর্ধ্বতন উপ সহকারী প্রকৌশলী কার্যালয়ে ট্রলিম্যান হিসেবে কর্মরত রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, জিল্লুর হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের উঠতি বয়সের তরুণদের মোবাইল ফোনে অনলাইন জুয়া খেলার বিভিন্ন অ্যাপস ইন্সটল করে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। এছাড়াও এইসব অনলাইন জুয়ার অ্যাপসে কিভাবে জুয়া খেলতে হবে, টাকা আদান-প্রদানের কলাকৌশল সম্পর্কে একরকম প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
অনলাইন জুয়ার ফাঁদে পড়ে সর্বশান্ত হয়ে অনেক তরুণ আজ পাগলপ্রায় জীবন যাপন করছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, জিল্লুর বাংলাদেশ রেলওয়ে কুষ্টিয়ার ঊর্ধ্বতন উপ সহকারী প্রকৌশলী কার্যালয়ে ট্রলিম্যান হিসেবে কর্মরত থাকলেও তার বেশ কয়েক জন সহযোগী রয়েছে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায়। তাদের মাধ্যমেই জিল্লুর অনলাইন জুয়া পরিচালনা করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কুষ্টিয়ার ঊর্ধ্বতন উপ সহকারী প্রকৌশলী কার্যালয়ে কর্মরত ট্রলিম্যান জিল্লুর জানান, তিনি এই সকল জুয়ার সাথে জড়িত নেই। তবে অনেকর মোবাইল ফোনে অনলাইন জুয়া খেলার অ্যাপস ইন্সটল করে দিয়েছেন বিগত সময়ে।