রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘২০২৪ সালের জুন মাসে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু করতে পারব। এ ছাড়া আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেল চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।’
শনিবার (১০ জুন) বিকেলে নড়াইলের লোহাগড়া মধুমতি আর্মি ক্যাম্পে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
শনিবার সকালে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ‘ভাঙ্গা-যশোর’ অংশের (২য় পর্যায়) কাজের উদ্বোধন শেষে ভাঙ্গা জংশন হতে রেললাইনের এলাইনমেন্টের ওপর দিয়ে মধুমতি রেলসেতু পর্যন্ত গাড়ি যোগে আসেন তিনি। দুপুরে মধুমতি রেলসেতু পরিদর্শনকালে সেতু সংশ্লিষ্ট সিনিয়র ব্রিজ অ্যান্ড ভায়াডাক্ট ইঞ্জিনিয়ার এ বি এম মফিদুল ইসলাম রেলমন্ত্রীকে পূর্ণাঙ্গ ধারণা প্রদান করেন।
দেশের চতুর্থ দীর্ঘতম রেলসেতুটির (মধুমতি রেলসেতু) পূর্বপ্রান্তে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি ও পশ্চিম প্রান্তে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা। এই দুই জেলাকে সংযুক্ত করতে চায় না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সহায়তায় ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ১ হাজার ২২১ মিটার দীর্ঘ সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে ৯৮ ভাগ। ১১৩টি পাইল ও সেতুর ১১টি পিলারের ওপর বসেছে মোট ১২টি স্প্যান। মধুমতি রেলসেতু পরিদর্শন শেষে মধুমতি নদী তীর রক্ষার ৫ কিলোমিটার ২৭০ মিটার কাজ পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী সুজন।
পরে তিনি পদ্মা সেতু রেল প্রকল্পের মধুমতি সাইট ক্যাম্পে নড়াইলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভায় অংশ নেন।
রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম সুজন সাংবাদিকদের বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে পদ্মা সেতুর পাশাপাশি রেলযোগাযোগ নির্বিঘ্ন করতে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু রেল প্রকল্পটির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। অগ্রাধিকার ভিত্তিক দেশের ১০টি বড় প্রকল্পের মধ্যে পদ্মা সেতু রেল প্রকল্পটি অন্যতম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল এ কে এম রেজাউল মজিদ, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত উপা প্রধান সমন্বয়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক-২ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ জামিউল ইসলাম ও পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক-৩ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামসুল আলম শামস।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলার জেলা প্রশাসক মো. আশফাকুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব শ্বাশতী শীল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) তারেক আল মেহেদী, লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দীনসহ অন্যান্য সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।