৫ ই আগষ্ট কুষ্টিয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশ ও ছাত্র জনতার ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পুলিশ ছাত্র জনতার ওপর ব্যাপক গুলি চালায়।সেই সংঘর্ষে সাত জন শহীদ হয়, আহত হয় অনেকেই। এস আই সাহেব আলীর নেতৃত্বে পুলিশের গুলিতে একজন আহত হলে জয় সহ আর ও চারজন আহত ব্যাক্তিকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় পুলিশের একটি গুলি জয়ের ডান হাতের ডানায় এসে লাগে। ভারি অস্ত্রের গুলি হওয়ায় হাতের একপাশে গুলি লেগে আরেক পাশ দিয়ে বেড়িয়ে যায়।
স্থানীয়রা আহত অবস্থায় জয় কে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায় জয়ের হাতে বড় ধরনের ইনজুরি হয়েছে, উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। পরে জয় কে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
জয় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ এর পেছনে আবের আলীর ছেলে। জানা যায় জয় কুষ্টিয়া আমিন ফার্মেসী র পাশের একটি সাইনবোর্ড তৈরির দোকানে কাজ করত।এ বিষয়ে জয়ের বাবা আবের আলীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার ছেলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার সামনে থেকে ডান হাতের ডানায় গুলি খেয়েছে।আমরা গরিব মানুষ।আমি বৃদ্ধ মানুষ আমার উপার্জন করার মতো সামর্থ্য নেই। আমার ছেলে জয় একাই উপার্জন করে সংসার চালায়। জয় অসুস্থ হওয়ার পরে আমরা খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছি। আমার চিন্তা শুধু আমার ছেলেকে নিয়ে।চিকিৎসা না করতে পারলে ও মারা যাবে। আপনারা সবাই মিলে আমার ছেলের চিকিৎসার ব্যাবস্থা করে দেন, আমার ছেলেকে বাঁচান।