কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আমিরুল হোসেন নান্নু (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ওই এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। আসামিপক্ষের বেশ কয়েকজনের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, লুটপাট ও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে নিহতের বড় ভাই জহিরুল ইসলাম লালু বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, নান্নু হত্যার ঘটনায় কুমারখালী থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানসহ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে গ্রেপ্তার, হামলা ও মামলার ভয়ে এলাকা ছেড়েছেন আসামিপক্ষের অনেকেই। প্রায় শতাধিক পরিবার পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। যে কোনো সময় আবারও হামলা করতে পারে এমন আশঙ্কায় বাড়িতে অবস্থানকারী নারী ও শিশুরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পরপরই বুধবার (১৩ মার্চ) রাতে কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর চাঁদপুর গ্রামের ঘরবাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। হত্যা ও ঘরবাড়িতে হামলার ঘটনায় উভয়পক্ষই জড়িত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছ।
বৃহস্পতিবার চাঁদপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, হত্যা পরবর্তী সহিংসতায় বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। হামলার ভয়ে অনেকেই বাড়ি ছেড়ে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে চলে যাচ্ছেন।
নিহতের পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন নান্নুকে কুপিয়ে হত্যা করে। বুধবার রাত ৮টার দিকে একটি ভুট্টা খেতের তার রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে পুলিশ। বিকেল ৩টায় নিহতের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।