কুষ্টিয়ায় শ্রী রাধাশ্যমসুন্দর ও জগন্নাথ মন্দির, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত (ইসকন) সংঘের অধ্যক্ষ শ্রী বৈষ্ণবানন্দ দাস ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারী, দুর্ব্যবহার, অনিয়ম, অনাকাঙ্ক্ষিত অসদাচরণ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
শ্রী বৈষ্ণবানন্দ দাস ব্রহ্মচারী নিজেকে আলোর ফেরিওয়ালা হিসেবে উপস্থাপন করলেও অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এর ভয়ঙ্কর অন্ধকার চরিত্র।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কুষ্টিয়ার শ্রী রাধাশ্যমসুন্দর ও জগন্নাথ মন্দির, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত (ইসকন) সংঘের উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন ড. অরবিন্দু সাহা গত ০৩/১০/১৮ খ্রী: তারিখে শ্রী বৈষ্ণবানন্দ দাস ব্রহ্মচারী প্রভুর অনাকাঙ্ক্ষিত অসদাচরণ, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও কমিটির রেজুলেশন ঢাকা স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বরাবর প্রেরণ করেন। যার অনুলিপি বৈষ্ণবানন্দ দাস ব্রহ্মচারী প্রভুকেও দেওয়া হয়।
তাতে বলা হয়েছে, শ্রী বৈষ্ণবানন্দ দাস ব্রহ্মচারী অধ্যক্ষ রাধাশ্যমসুন্দর ও জগন্নাথ মন্দির, আড়ুয়াপাড়া কুষ্টিয়া এর আগমনের পর শুরু থেকে অদ্যাবধি তিনি নানা প্রকার দুর্ব্যবহার, অনিয়ম, অনাকাঙ্ক্ষিত অসদাচরণ, দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পরেছেন। রেজুলেশনে এও বলা হয় যে, তাহার এহেন আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে সবাই একমত হন যে, বৈষ্ণবানন্দ প্রভু মন্দিরে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। তাই সর্বসম্মত ভাবে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, কুষ্টিয়ার কেউই আর বৈষ্ণবানন্দ প্রভুকে কুষ্টিয়াতে দেখতে চান না।
কুষ্টিয়া ইসকন মন্দিরের উৎসব উদযাপন কমিটির এক সদস্য (নাম প্রকাশ না করার শর্তে) বলেন, বৈষ্ণবানন্দ প্রভুর রাগী মানুষ, মেজাজ গরম, কথা বার্তা আবোলতাবোল বলে। তিনি আরও বলেন, একজন বৈষ্ণব মানুষের প্রধান চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে হলো, নরম শান্ত, এগুলো বৈষ্ণবানন্দ প্রভুর মধ্যে লক্ষ্য করা যায় না।
খোকসা ইসকন প্রচার কেন্দ্রের এক সদস্য অভিযোগ করে (নাম প্রকাশ না করার শর্তে) বলেন, সে ব্রহ্মচারী হয়েও রাত ১২টা ১টা পর্যন্ত মেয়েদের সাথে গল্প/চেট করে। তিনি আরও বলেন, বৈষ্ণবানন্দ প্রভু অনৈতিক কার্যকলাপ করে তার প্রমাণ রয়েছে।
এছাড়াও কুষ্টিয়ার একাধিক ইসকন ভক্তরা বৈষ্ণবানন্দ প্রভুর এই অসদাচরণ, অন্যায় ও অত্যাচার এর প্রতিকার চান।
ইসকন সংঘের অধ্যক্ষ শ্রী বৈষ্ণবানন্দ দাস ব্রহ্মচারী অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেন।