কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে নবীন ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থীর আবাসিকতা বাতিল করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা যাচাই বাচাই করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হল কর্তৃপক্ষ। সোমবার হল প্রভোস্টের কার্যালয়ে আলোচনা শেষে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার দুপুরে আলোচনায় বসেন হলের তদন্ত কমিটি ও প্রভোস্ট এবং হল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ঘটনা যাচাই বাচাই করে সকলের সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। আাগামী ১লা মার্চের মধ্যে তাদেরকে হল ত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
বহিষ্কৃত পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন, পরিসংখ্যান বিভাগের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম, ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী ও ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের মুয়াবিয়া জাহান।
প্রসঙ্গত, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভুক্তভোগী ছাত্রী ফুলপরীকে রাতভর র্যাগিং, শারীরিকভাবে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ছাত্রলীগ কর্মী তাবাসসুম ইসলাম, মোয়াবিয়া জাহান, ইসরাত জাহান মিমি ও হালিমা খাতুন উর্মীর বিরুদ্ধে। পরে ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৫ই ফেব্রুয়ারি একটি তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে ১৫ই ফেব্রুয়ারি পৃথকভাবে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল ও শাখা ছাত্রলীগ তদন্ত কমিটি গঠন করে। এছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন।