কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জগতি কলোনি পাড়ার মৃত আলি হোসেনের ছেলে বালাগুল হোসেন (৩৯) এর সাথে ১৯ বছর আগে দীর্ঘদিন সম্পর্ক করে । বিয়ে করেন একই এলাকার মৃত শান্টু শেখের মেয়ে শারমিন আক্তার (৩৪) ২০০৬ সালে তাদের কোল জুরে একটি কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহন করে ২০০৯ সালে আবার একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহন করে। বালাগুল পেশায় একজন মুদি দোকানদার কুষ্টিয়া র্যাবগলিতে র্যাব ক্যাম্পের পাশে একটি মুদি দোকান ছিল । ব্যবসায়িক কারণে সিও এনজিও থেকে ঋণ গ্রহণ করেন বালাগুল । সিও এনজিও এর কিস্তির টাকা তুলতে আসেন যশোর চৌগাছা উপজেলার আন্দুলিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের মেয়ে রেশমা আক্তার শাপলা দীর্ঘদিন একই ব্যক্তির কাছে যাওয়া আসার কারণে সিইও এনজিওর কর্মী রেশমা আক্তার শাপলার সাথে বালাগুলি এর একটি সম্পর্ক তৈরি হয় বলে জানান বালাগুল এর স্ত্রী ভুক্তভোগী শারমিন আক্তার। বালাগুলের স্ত্রী ভুক্তভোগী শারমিন আক্তার এর সাথে কথা বল্লে তিনি জানান, এনজিও কর্মী শাপলার সাথে সম্পর্ক হওয়ার পর থেকে বালাগুল আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে থাকে বিভিন্ন সময় শারীরিক এবং মানসিকভাবে ও আমাকে নির্যাতন করতে থাকে। এবং দোকানে মালামাল তোলার জন্য বিভিন্ন এনজিও থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা ঋণ তোলায় আমাকে দিয়ে। আমি যদি কখনো ঋণ তুলে দিতে অস্বীকার করতাম তাহলে আমাকে অমানবিকভাবে নির্যাতন করতো। এরমধ্যে ২০২২ সালে আমি আবারো অন্তঃসত্ত্বা হই। ২৩ অক্টোবর ২০২২ তারিখে আমার যখন ৮ মাস ১৫-২০ দিন এর বাচ্চা পেটে ঐদিন আমার স্বামী আমাকে রেখে এনজিও কর্মী শাপলার সঙ্গে যশোরে চলে যায়। আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে অনুরোধ করেও আমার স্বামীকে এনজিওকর্মী শাপলার কাছ থেকে ফিরিয়ে আনতে পারি নাই। বর্তমানে আমার তিন সন্তান এবং ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকার ঋণের বোঝা আমার মাথার উপরে । আমি এখন আমার তিন সন্তানের ভরণপোষণ বহন করব না ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকার ঋণ টানবো আমি যদি আমার স্বামীকে ফেরত না পায় তাহলে আমার তিন সন্তান নিয়ে মৃত্যু ছাড়া আর কোন পথ থাকবে না। তাই তিনি তার সন্তানদের পিতাকে ফিরে পেতে প্রশাসন সহ সকলের কাছে আকুল আবেদন করেন।